প্রত্যক্ষ নির্বাচন কাকে বলে? প্রত্যক্ষ নির্বাচনের সুবিধা ও অসুবিধা

প্রত্যক্ষ নির্বাচন কাকে বলে?

ভোটারগণ যখন সরাসরি নিজেরাই তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায় তখন তাঁকে প্রত্যক্ষ নির্বাচন বলা হয়। এটিকে প্রাথমিক নির্বাচন পদ্ধতিও বলা যায়। এতে ভোটদাতা ও ভোট প্রার্থীর মাঝখানে কোন ব্যক্তি অবস্থান করে না। যেমন: বাংলাদেশ, ভারত, গ্রেট ব্রিটেন প্রভৃতি দেশের আইনসভার সদস্যগণ সাধারণ ভোটারদের দ্বারা নির্বাচিত হন।

প্রত্যক্ষ নির্বাচনের সুবিধা

  • এ ব্যবস্থায় ভোটার জনসাধারণ দেখেশুনে সরাসরি প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। ফলে ভোটদাতা ও প্রার্থীর মধ্যে একটা বোঝাপড়ার সুযোগ থাকে। তাছাড়া বিজয়ী হলে সে প্রতিনিধি ভোটারদের নিকট নিজের দায়িত্বের কথা উপলব্ধি করে।
  • প্রত্যক্ষ পদ্ধতিতে নির্বাচনের সুযোগ থাকায় ভোটারগণ বিভিন্ন দল ও প্রার্থীর তৎপরতা দেখেশুনে, বিচার বিশ্লেষণ করে ভোট দিতে পারে। ফলে তাদের রাজনীতি সম্বন্ধে শিক্ষা ও সচেতনতার প্রসার ঘটে।
  • এ পদ্ধতিতে প্রার্থীর পক্ষে প্রলোভন দেখিয়ে সকল ভোটারকে প্রভাবিত করা কঠিন। ফলে নির্বাচনী দুর্নীতি কম হয়।
  • ভোটারগণ এ পদ্ধতিতে তাদের অভাব অভিযোগের কথা নিজেরাই নির্বাচিত প্রতিনিধিকে জানাতে ও পূরণে চাপ প্রয়োগ করতে পারবে। এতে এসবের দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হয়।

প্রত্যক্ষ নির্বাচনের অসুবিধা

  • এ পদ্ধতিতে প্রার্থীদের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের সুযোগ থাকায় অনেক প্রার্থীর মধ্য থেকে যোগ্যতম ব্যক্তিকে বাছাই করতে ভোটারদের বেগ পেতে হয়। অনেক সময় চতুর বা ধুর্ত প্রার্থীর কথার যাদুতে ভুলে প্রকৃত যোগ্যতা বিচার না করেই ভোটাররা প্রতিনিধি নির্বাচিত করে।
  • ভোটারদের প্রভাবিত করার প্রতিযোগিতা থাকায় এ পদ্ধতি সমস্ত এলাকায় নির্বাচনী উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। অনেক সময় হৈ চৈ, দ্বন্দ্ব, কোন্দল ও সংঘর্ষ হতে দেখা যায়।