প্রজনন শিল্পের ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।

উদ্ভিদ ও প্রাণীর বংশবিস্তারের মাধ্যমে উৎপাদন কাজ পরিচালিত হওয়ার প্রক্রিয়া হলো প্রজনন শিল্প। এ শিল্পের মাধ্যমে গাছপালা ও প্রাণীর বংশ বাড়ানো হয়। যেমন – নার্সারি, পোলট্রি ফার্ম, ডেইরি ফার্ম, মৎস্য উৎপাদন, হ্যাচারি প্রভৃতি। এতে প্রাকৃতিক সম্পদ লালন-পালন করে সেগুলোর বংশ বাড়ানো বা স্বাভাবিক ফলনের মাধ্যমে নতুন সম্পদ সৃষ্টি করা যায়।

প্রজনন শিল্প হল এমন একটি শিল্প যেখানে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বংশবিস্তার এবং উন্নত জাত সৃষ্টির কাজ করা হয়। এই শিল্পের মূল লক্ষ্য হল উচ্চমানের ও উচ্চ ফলনশীল জাতের উদ্ভিদ ও প্রাণী উৎপাদন করা।

প্রজনন শিল্পের মাধ্যমে মানুষের খাদ্য, পোশাক, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। এই শিল্পের সাহায্যে কৃষি, মৎস্যচাষ এবং পশুপালন খাতের উন্নতি সাধন করা যায়। প্রজনন শিল্পের বিভিন্ন কৌশলের মধ্যে রয়েছে: বংশবিস্তার, সংকরায়ণ, পছন্দ বাছাই এবং জিন প্রকৌশল।

প্রজনন শিল্পের গুরুত্ব: প্রজনন শিল্প মানব সভ্যতার অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে এবং পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রজনন শিল্পের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন, পরিবেশের প্রতিকূল পরিস্থিতি সহনশীল এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের উদ্ভিদ ও প্রাণী উৎপাদন করা সম্ভব হয়।

প্রজনন শিল্পের উদাহরণ: প্রজনন শিল্পের উদাহরণ হিসেবে নার্সারি, হ্যাচারি, হাঁস-মুরগীর খামার, পশুপালন ইত্যাদি উল্লেখ করা যায়। নার্সারিতে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ, শাকসবজি এবং ফুলের চারা উৎপাদন করা হয়। হ্যাচারিতে মাছের পোনা উৎপাদন করা হয়। হাঁস-মুরগীর খামারে উচ্চমানের হাঁস-মুরগি পালন করা হয়। পশুপালনে গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি পশু পালন করা হয়।