প্রচলিত শক্তি কাকে বলে? উদাহরণ, সুবিধা ও অসুবিধা

প্রচলিত শক্তি কাকে বলে?

প্রচলিত শক্তি হল এমন শক্তির উৎস যা দীর্ঘদিন ধরে মানুষ ব্যবহার করে আসছে এবং যেগুলো সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায়। এই শক্তির উৎসগুলি প্রায়শই পরিবেশ দূষণের কারণ হয় এবং সীমিত পরিমাণে পাওয়া যায়।

প্রচলিত শক্তি, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই শক্তির উৎস থেকে আমরা বিদ্যুৎ, তাপ এবং অন্যান্য শক্তি উৎপাদন করি যা আমাদের জীবনকে সহজ এবং আরামদায়ক করে তোলে।

প্রচলিত শক্তির উদাহরণ: কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি।

প্রচলিত শক্তির ব্যবহার

প্রচলিত শক্তির দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের কয়েকটি উদাহরণ:

  • কয়লা, তেল ও গ্যাস জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
  • গাড়ি, বাস, ট্রেন, জাহাজ চালাতে তেল ও গ্যাসের ব্যবহার হয়।
  • রান্না করার জন্য গ্যাস বা বিদ্যুৎ চুলা ব্যবহার করা হয়।
  • বিভিন্ন শিল্প কারখানায় কাঁচামাল প্রক্রিয়াকরণ ও পণ্য উৎপাদনে কয়লা, তেল ও গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
  • পরমাণু চুল্লি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
  • কৃষিতে যন্ত্রপাতি চালানো, সার তৈরি এবং পাম্প সেট চালানোর জন্য ডিজেল বা পেট্রোল ব্যবহার করা হয়।

প্রচলিত শক্তির সুবিধা

  • প্রচলিত শক্তির উৎস সাধারণত সহজলভ্য এবং খনন করা সহজ।
  • প্রচলিত শক্তি অপ্রচলিত শক্তির তুলনায় সস্তা হয়ে থাকে।
  • প্রচলিত শক্তিগুলো উচ্চ ঘনত্বের হওয়ায় কম পরিমাণে জ্বালানি থেকে বেশি শক্তি পাওয়া যায়।
  • সরকার এই জ্বালানির উপর কর আরোপ করে রাজস্ব আয় করতে পারে।

প্রচলিত শক্তির অসুবিধা

  • জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা, তেল, গ্যাস) জ্বালানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ বেড়ে যায়।
  • শক্তি উৎপাদনের ফলে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থ জলে মিশে জলকে দূষিত করে।
  • জীবাশ্ম জ্বালানি জ্বালানোর ফলে বায়ুতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর গ্যাস এবং কণা ছড়িয়ে পড়ে।
  • জীবাশ্ম জ্বালানি সীমিত সম্পদ।
  • পারমাণবিক শক্তি উৎপাদনের সময় রেডিয়েশন নিঃসরণের ঝুঁকি থাকে, যা মানুষ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
  • শক্তি উৎপাদন এবং ব্যবহারের ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।