প্রকৃত দ্রবণ কাকে বলে? প্রকৃত দ্রবণের বৈশিষ্ট্য

প্রকৃত দ্রবণ কাকে বলে? 

কোন দ্রাবকে কোনো দ্রবের কণাগুলো 10-8 cm বা 0.1 nm ব্যাসের অথবা আরো ক্ষুদ্র কণায় বিয়োজিত হয়ে দ্রাবকের সাথে মিশে স্বচ্ছ, সমসত্ব ও সুস্থিত স্থায়ী মিশ্রণ উৎপন্ন করে, এ মিশ্রণ থেকে দ্রবের কণাগুলো অতি সহজেই ফিল্টার কাগজ বা পার্চমেন্ট কাগজের মধ্যদিয়ে খুব সহজেই যেতে পারে তবে এ সমসত্ত্ব, স্বচ্ছ ও স্থায়ী মিশ্রণকে প্রকৃত দ্রবণ বলা হয়।

প্রকৃত দ্রবণের বৈশিষ্ট্য

১) প্রকৃত দ্রবণে দ্রবীভূত দ্রব কণাগুলোর ব্যাস 10-8 cm বা 0.1 nm অথবা এর চেয়েও ছোট হয়।

২) প্রকৃত দ্রবণের কণাগুলো সাধারণ ফিল্টার কাগজ বা পার্চমেন্ট কাগজের মধ্যদিয়ে সহজেই যেতে পারে।

৩) প্রকৃত দ্রবণের দ্রব কণাগুলোকে খালি চোখে সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্র এমনকি আল্ট্রা মাইক্রোস্কোপ যন্ত্রের সাহায্যেও দেখা যায় না।

৪) প্রকৃত দ্রবণের বর্ণ দ্রাবকের বর্ণের উপর নির্ভর করে। দ্রাবক বর্ণহীন হলে দ্রবণের বর্ণ দ্রব কণার বর্ণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

৫) প্রকৃত দ্রবণ হচ্ছে, সমসত্ত্ব ও স্থায়ী হয়।

৬) প্রকৃত দ্রবণে আলোক রশ্মি চালনা করলে আলোকরশ্মির কোনো প্রতিফলন বা বিচ্ছুরণ ঘটে না।

৭) প্রকৃত দ্রবণ ব্রাউনীয় গতি প্রদর্শন করে না।

৮) প্রকৃত দ্রবণে দ্রবের কণাগুলো দ্রুত ব্যাপিত হয়।