পানির প্রাকৃতিক উৎস

বৃষ্টির পানিঃ প্রাকৃতিক উৎসগুলির মধ্যে একমাত্র বৃষ্টির পানিই বিশুদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। কিন্তু কলকারখানার নিকটবর্তী বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত কার্বন, নাইট্রোজেন ও সালফার ডাইঅক্সাইডসমূহ বৃষ্টির পানির সাথে দ্রবীভূত হয়ে অম্লবৃষ্টির মাধ্যমে পৃথিবীর মাটিতে ফিরে আসে।

নদীর পানিঃ বৃষ্টির পানি পৃথিবীর মাটির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নদীতে প্রবেশ করে। মাটির উপর দিয়ে প্রবাহিত হবার সময় মাটির মধ্যে উপস্থিত Na, K, Mg প্রভৃতি ধাতুর সালফেট, ক্লোরাইড ইত্যাদি লবণ পানির মধ্যে দ্রবীভূত হয়ে যায়। জমিতে অতিরিক্ত সার, কীটনাশক, রাসায়নিক পদার্থ বৃষ্টির পানিতে দ্রবীভূত অথবা প্রলম্বিত অবস্থায় নদীর পানিতে মিশে পানি দূষিত করে। এছাড়া কলকারখানার বর্জ্য পদার্থও নদীর পানিকে দূষিত করে।

ঝরনার পানিঃ বৃষ্টির পানি মাটির মধ্য দিয়ে ভূগর্ভস্থরে জমা হয়। পাহাড়ের বৃষ্টির পানি ঝরনার আকারে বের হয়ে আসে।

সমুদ্রের পানিঃ নদীর পানি সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। সমুদ্রের পানিতে অধিক পরিমাণে খনিজ লবণ জৈব পদার্থ ও বর্জ্য পদার্থ মিশে থাকার জন্য মানুষ এই পানি ব্যবহার করতে পারে না। এই পানি লবণাক্ত। প্রাকৃতিক পানির মধ্যে সমুদ্রের পানি সবচেয়ে দূষিত।