পরিসংখ্যানের পদ্ধতি হলো সংখ্যাত্মক তথ্য সংগ্রহ, সংগঠিতকরণ, বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা করার একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। এটি আমাদেরকে বাস্তব জগতের জটিল ঘটনাগুলোকে সংখ্যার মাধ্যমে বোঝার এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনুমান করার সুযোগ দেয়। এক কথায়, পরিসংখ্যানের পদ্ধতি হলো তথ্যের সমুদ্র থেকে জ্ঞানের মুক্তা খুঁজে বের করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন সামাজিক বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ব্যবসা, ইত্যাদি, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, একটি কোম্পানি তাদের পণ্যের বিক্রয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি থাকবে তা নির্ণয় করতে পারে। একইভাবে, একটি সরকার জনসংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ করে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী নীতিমালা গ্রহণ করতে পারে।
পরিসংখ্যানের পদ্ধতির মূল ধাপগুলো হলো:
- তথ্য সংগ্রহ: প্রথমে আমাদের যে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে চাই, সে সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। এই তথ্যগুলো হতে পারে জরিপের মাধ্যমে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে, অথবা বিদ্যমান তথ্যের উৎস থেকে সংগ্রহ করা।
- তথ্যের সংগঠন: সংগৃহীত তথ্যগুলোকে সারণি, চার্ট বা গ্রাফের মতো উপস্থাপনা করে সুন্দরভাবে সাজানো হয়। এতে তথ্যগুলোকে বোঝা অনেক সহজ হয়ে যায়।
- তথ্য বিশ্লেষণ: সংগঠিত তথ্যগুলোকে বিভিন্ন পরিসংখ্যানগত পদ্ধতির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হয়। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা তথ্যের মধ্যে লুকিয়ে থাকা নিদর্শন বা ধারণাগুলো খুঁজে বের করতে পারি।
- তথ্যের ব্যাখ্যা: বিশ্লেষণের ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা তথ্যের অর্থ ব্যাখ্যা করতে পারি এবং নির্দিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি।
পরিসংখ্যানের পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা বাস্তব জগতের জটিল সমস্যাগুলোকে সহজে বুঝতে এবং সমাধান করতে পারি।