পরিবাহিতা বেশি হলে কোনো পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। পরিবাহিতা কম হলে কোনো পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়ার সুযোগ কম থাকে।
পরিবাহকত্ব কাকে বলে?
আপেক্ষিক রোধের বিপরীত রাশিকে পরিবাহকত্ব বলে।
পরিবাহকত্ব হলো কোনো পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়ার ক্ষমতা।
পরিবাহিতাকে গ্রীক অক্ষর σ (সিগমা) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। পরিবাহিতা হলো একটি মাত্রাবিহীন রাশি।
পরিবাহকত্বের সূত্র
σ = 1/R
যেখানে,
- σ হলো পরিবাহকত্ব
- R হলো রোধ
পরিবাহকত্বের এককঃ পরিবাহকত্বের SI একক হলো সিমেন্স প্রতি মিটার (S/m)।
পরিবাহকত্বের নির্ভরতাঃ পরিবাহকত্বের মান নির্ভর করে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির উপর-
- পদার্থের প্রকৃতি
- পদার্থের তাপমাত্রা
- পদার্থের আকার ও আকৃতি
পরিবাহকত্বের উদাহরণ
- পরিবাহী পদার্থ: তামা, অ্যালুমিনিয়াম, লোহা, সোনা, রূপা, ইত্যাদি।
- অপরিবাহী পদার্থ: কাঠ, প্লাস্টিক, রাবার, কাচ, ইত্যাদি।
পরিবাহীতার প্রকারভেদ
পরিবাহিতাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
- অধিক পরিবাহিতা: যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজেই তড়িৎ প্রবাহিত হয়, সেসব পদার্থের পরিবাহিতা বেশি। যেমন, তামা, অ্যালুমিনিয়াম, লোহা ইত্যাদি পদার্থের পরিবাহিতা বেশি।
- কম পরিবাহিতা: যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হওয়া কঠিন, সেসব পদার্থের পরিবাহিতা কম। যেমন, কাচ, প্লাস্টিক, পাথর ইত্যাদি পদার্থের পরিবাহিতা কম।
পরিবাহিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির কার্যকারিতা সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে।
পরিবাহকত্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ
- বিদ্যুৎ পরিবহন: বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য পরিবাহী তারের ব্যবহার করা হয়।
- ইলেকট্রনিক্স: ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি তৈরিতে পরিবাহী উপকরণগুলির ব্যবহার করা হয়।
- চিকিৎসা: চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিবাহী পদার্থগুলি বিভিন্ন চিকিৎসা যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
পরিবাহকত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ইলেকট্রনিক্স এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।