পরিকল্পনা প্রণয়নে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি

সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য ব্যবস্থাপক তার অনুসারীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দৃষ্টিভঙ্গি ঠিক করে থাকেন। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সাধারণত নিম্নের তিনটি দৃষ্টিভঙ্গির যেকোনো একটি গ্রহণ করতে পারে:

১. নিম্নমুখী পরিকল্পনা: ব্যবস্থাপনার উচ্চ পর্যায়ের লোকের সার্বিক কার্যক্রম দেখাশুনা করে থাকে। এক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের লোকেরা নিম্ন পর্যায়ের লোকদের লক্ষ্য স্থির করে দেন এবং তা বাস্তাবায়নের পরিকল্পনা দিয়ে থাকেন। অর্থাৎ এখানে দর্শনটি হচ্ছে অধীনস্থ কর্মীরা দায়িত্ব গ্রহণে সমর্থ নয় এবং তারা নির্দেশিত হয়ে দায়িত্ব পালনে আগ্রহী।

২. ঊর্ধ্বমুখী পরিকল্পনা: এ পর্যায়ে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিভাগ ও কর্মচারীরা তাদের লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা ঠিক করে উচ্চতর ব্যবস্থাপনায় অনুমোদনের জন্য পাঠায়। এক্ষেত্রে কর্মচারীরা দায়িত্ব নিতে এবং কাজ করতে আগ্রহী হয়ে থাকে। অর্থাৎ এ দর্শনটি নিম্নমুখী পরিকল্পনার বিপরীত দর্শন।

৩. নিম্নমুখী লক্ষ্য ঊর্ধ্বমুখী পরিকল্পনা: এ পর্যায়ে উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপকরা কোম্পানির সার্বিক দিক বিবেচনা করে বার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কোম্পানির বিভিন্ন বিভাগে উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপকরা আলাদা পরিকল্পনা পাঠিয়ে থাকেন।