পরিকল্পনার প্রকৃতি বা প্রকারভেদ

প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা, উন্নয়ন এবং পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়। পরিকল্পনার প্রকৃতি অনুযায়ী তাদের তিন ভাগে ভাগ করা যায়। নিম্নে এদের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:

১) বার্ষিক পরিকল্পনা: বার্ষিক পরিকল্পনা বলতে এক বছরের জন্য গৃহীত পরিকল্পনাকে বুঝায়। এই পরিকল্পনার আওতায় এক বছরের উদ্দেশ্য বর্ণিত থাকে। অর্থাৎ এ পরিকল্পনার আওতায় কোম্পানির উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য বাজারজাতকরণ কৌশল, কর্মসূচি, বাজেট ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের রূপরেখা তুলে ধরা হয়। এটি উচ্চ ব্যবস্থাপনা কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং কোম্পানির অন্যান্য কার্যাবলি যেমন: উৎপাদন, অর্থসংস্থান ইত্যাদির সঙ্গে বাজারজাতকরণ কার্যাবলির সমন্বয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।

২) দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা: যে পরিকল্পনা একাধিক বছরের জন্য প্রণয়ন করা হয় তাকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বলে। দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানি কার্যক্রম এবং উন্নয়নে যেসব উপাদান বা চলক প্রভাব বিস্তার করে থাকে এ পরিকল্পনার আওতায় সেসব বিষয়ই অন্তর্ভূক্ত থাকে। আরো পরিষ্কারভাবে বলতে গেলে বলা যায়, একটি কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি উদ্দেশ্যাবলি অন্তর্ভূক্ত থাকবে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বছরান্তে মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়, যাতে এটি সময় উপযোগী এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

৩. কৌশলগত পরিকল্পনা: পরিবর্তনশীল বাজারজাতকরণ সুযোগগুলোকে কোম্পানির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কৌশলগতভাবে কাজে লাগানোকেই কৌশলগত পরিকল্পনা বলে। কৌশলগত পরিকল্পনার মাধ্যমে কোম্পানি তার পরবর্তী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে। এটি নির্ভর করে কোম্পানির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থিরকরণ, আনুষঙ্গিক উদ্দেশ্যাবলি ও ব্যবসায় খাত চিহ্নিতকরণ, কর্ম সম্পাদনের জন্য সুনির্দিষ্ট কার্যভার বণ্টন এবং কার্যাবলির সুসমন্বয়ের ব্যবস্থা উন্নয়নের উপর।