নিরপেক্ষ বচন কাকে বলে?

নিরপেক্ষ বচন হল এমন একটি বচন যা উদ্দেশ্য এবং বিধেয়ের মধ্যে কোনো শর্ত বা সীমাবদ্ধতার উল্লেখ করে না। অর্থাৎ, নিরপেক্ষ বচনে বলা হয় যে উদ্দেশ্য শ্রেণীর প্রতিটি সদস্য বিধেয় শ্রেণীর সদস্য, বা উদ্দেশ্য শ্রেণীর কোনো সদস্যই বিধেয় শ্রেণীর সদস্য নয়।

নিরপেক্ষ বচনকে গুণ এবং পরিমাণের ভিত্তিতে চার ভাগে ভাগ করা যায়:

  • সামান্য সদর্থক বচন (A): এই ধরনের বচনে বলা হয় যে উদ্দেশ্য শ্রেণীর প্রতিটি সদস্য বিধেয় শ্রেণীর সদস্য। উদাহরণস্বরূপ, “সকল মানুষ হয় মরণশীল”।
  • সামান্য নঙর্থক বচন (E): এই ধরনের বচনে বলা হয় যে উদ্দেশ্য শ্রেণীর কোনো সদস্যই বিধেয় শ্রেণীর সদস্য নয়। উদাহরণস্বরূপ, “কোনো মানুষ নয় অমর”।
  • বিশেষ সদর্থক বচন (I): এই ধরনের বচনে বলা হয় যে উদ্দেশ্য শ্রেণীর কিছু সদস্য বিধেয় শ্রেণীর সদস্য। উদাহরণস্বরূপ, “কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ”।
  • বিশেষ নঙর্থক বচন (O): এই ধরনের বচনে বলা হয় যে উদ্দেশ্য শ্রেণীর কিছু সদস্য বিধেয় শ্রেণীর সদস্য নয়। উদাহরণস্বরূপ, “কোনো কোনো মানুষ নয় অমর”।

নিরপেক্ষ বচনের কিছু উদাহরণ হল:

  • সকল মানুষ হয় মরণশীল। (সামান্য সদর্থক বচন)
  • কোনো মানুষ নয় অমর। (সামান্য নঙর্থক বচন)
  • কোনো কোনো মানুষ হয় সৎ। (বিশেষ সদর্থক বচন)
  • কোনো কোনো মানুষ নয় অমর। (বিশেষ নঙর্থক বচন)

নিরপেক্ষ বচনগুলি যুক্তিবিদ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলি বিভিন্ন ধরনের যুক্তি প্রমাণ এবং যুক্তি তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।