ধারক কাকে বলে?

ধারক কাকে বলে?

কাছাকাছি স্থাপিত দুটি পরিবাহকের মধ্যবর্তী স্থানে অন্তরক পদার্থ রেখে তড়িৎ
আধানরূপে শক্তি সঞ্চয় করে রাখার যান্ত্রিক কৌশলকেই ধারক বলে।

যে পদ্ধতিতে চার্জ সংরক্ষণ করে রাখা যায় তাকে ধারক বলা যায়। বিভিন্ন ধরনের তড়িৎ
বর্তনীতে ধারকের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে, রেডিও,
টেলিভিশন, বৈদ্যুতিক পাখা ইত্যাদিতে ধারকের ব্যবহার রয়েছে।

একটি অন্তরিত পরিবাহী এবং অপর একটি ভূ-সংযুক্ত একই রকম পরিবাহীকে পরস্পরের খুব
কাছে স্থাপন করে মধ্যবর্তী স্থানে বায়ু বা অপরিবাহী দ্বারা পূর্ণ করে একটি ধারক
তৈরি করা যায়।

ধারক

সহজ কথায় বলতে গেলে যে ধারণ করে সেই ধারক। যেমন গ্লাস, বালতি বা কলসী পানি ধারণ
করে। সুতরাং তাদেরকে পানি ধারক বলা যায়। কোনো বস্তুকে তাপ দিলে বস্তু তাপ ধারণ
করে রাখে, তাই বস্তুকে তাপ ধারক বলা যায়। তেমনি যে বস্তু আধান ধারণ অর্থাৎ সঞ্চয়
করে রাখে, তাকে আধান ধারক বা শুধু ধারক বলে।

পাত্রে পানি ঢাললে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়, কোনো বস্তুকে তাপ দিলে তার তাপমাত্রা
বৃদ্ধি পায় তেমনি কোনো বস্তুতে আধান প্রদান করলে বস্তু বিভব বৃদ্ধি পায়।

যে পরিমাণ আধান প্রদান করলে একটি বস্তুর বিভব 1 V বৃদ্ধি পায় তাকে তার ধারকত্ব
বলে।

ধারকত্বকে C দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর একক ফ্যারাড (F)।

ধরাযাক, একটি বস্তুতে q পরিমাণ আধান প্রদান করায় বস্তুটির বিভব হলো V। তাহলে
বস্তুটিতে 1 বিভব বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় আধানের পরিমাণ বা বস্তুর ধারকত্ব,

C = q ÷ V

ধারকের একক

ধারকের একক ফ্যারাড (F)। এটি একটি বেশ বড় একক। এজন্য এর কতগুলো ছোট একক ব্যবহার
করা হয়।

1 μF (মাইক্রো ফ্যারাড) = 10-6 F
1 nF (ন্যানো ফ্যারাড) = 10-9 F
1 pF (পিকো ফ্যারাড) = 10-12 F

ধারকের ব্যবহার

১) টেলিগ্রাফ, টেলিফোন এবং বেতার গ্রাহক যন্ত্রে টিউনিং এর কাজে ধারক ব্যবহৃত হয়।

২) বেদ্যুতিক পাখাকে জোরে ঘুরাবার জন্য ধারক ব্যবহার করা হয়।

৩) স্পন্দকে ধারক ব্যবহার করা হয়।

৪) বিবর্ধক যন্ত্রে কাপলিং এর কাজে ধারক ব্যবহার করা হয়।

৫) ফিল্টার সার্কিটে ধারক ডিসি ব্লকিং হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

৬) বৈদ্যুতিক বর্তনীতে ডিসি ব্লকিং হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

৭) এছাড়া চার্জ সঞ্চয় করে রাখতে ধারক ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ