চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস একটি ছোঁয়াচে রোগ যা চোখের পাতা এবং সাদা অংশকে প্রভাবিত করে। এটি সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। 

চোখ ওঠার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • চোখ লাল হয়ে যাওয়া
  • চোখ থেকে পানি পড়া
  • চোখে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া
  • চোখের পাতা ফুলে যাওয়া
  • চোখের পাতায় পুঁজ জমা হওয়া

চোখ ওঠার কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা হল:

  • ঠান্ডা সেঁক: ঠান্ডা সেঁক চোখের ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। একটি পরিষ্কার তোয়ালে বা কাপড় ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে নিন এবং চোখের উপর 10-15 মিনিটের জন্য রাখুন। প্রতি ঘন্টায় একবার এই পদ্ধতিটি পুনরাবৃত্তি করুন।
  • লবণ জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলা: লবণ জল চোখের থেকে জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে 1/2 চা চামচ লবণ এবং 8 আউন্স ঠান্ডা জল মিশিয়ে নিন। একটি পরিষ্কার তুলা বা কাপড়ে এই মিশ্রণটি নিন এবং চোখের চারপাশ আলতো করে মুছুন।
  • গোলাপজল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলা: গোলাপজল চোখের ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। একটি পরিষ্কার তুলা বা কাপড়ে গোলাপজল নিন এবং চোখের চারপাশ আলতো করে মুছুন।
  • চা দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলা: চায়ের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চোখের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। একটি পরিষ্কার তোয়ালে বা কাপড়ে চা নিন এবং চোখের উপর 10-15 মিনিটের জন্য রাখুন। প্রতি ঘন্টায় একবার এই পদ্ধতিটি পুনরাবৃত্তি করুন।

চোখ ওঠার লক্ষণগুলি যদি 7-10 দিনের মধ্যে না কমে তবে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে দেখা করুন।

কয়েকটি টিপস যা চোখ ওঠা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে:

  • আপনার চোখকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন।
  • আপনার চোখের প্রসাধনী অন্য কারও সাথে শেয়ার করবেন না।
  • আপনার চোখের প্রসাধনীগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
  • আপনার চোখের যত্ন নেওয়ার জন্য পরিষ্কার তোয়ালে বা কাপড় ব্যবহার করুন।
  • আপনার হাত নিয়মিত ধুয়ে ফেলুন।

চোখ ওঠার সময় যেসব জিনিস এড়ানো উচিত:

  • আপনার চোখ ঘষবেন না।
  • আপনার চোখের প্রসাধনীগুলি ব্যবহার করবেন না।
  • আপনার চোখে সানগ্লাস বা চশমা পরবেন না।
  • আপনার চোখের উপর চাপ সৃষ্টি করা এমন কাজগুলি এড়িয়ে চলুন।