কুমু-লাটুর মনে কোনো সন্দেহ রইল না কারণ পাখিটি ক্রমাগত উড়তে লাগল।
কুমু আর লাটুর সেবায় আর নিজের চেষ্টায় পাখিটা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছে। তার যে পাখায় গুলি লেগেছিল সেটি সেরে উঠেছে। এখন সে উড়তে পারে, তবে খুব ভালোমতো পারে না। একদিন বুনো হাঁসরা যখন উড়তে লাগল কুমুুর পাখিও অনেকখানি উঁচুতে উড়ে গেল কিন্তু তখনই নেমে এলো। হাঁসেরাও নামল। সারা রাত বিশ্রাম করে পরদিন সকালে যখন আবার পাখিগুলো আকাশে উড়ল তখন পাখিটাও তাদের সঙ্গে নিল। তাদের থেকে একটু পিছিয়ে থাকল বটে, তবে কুমু-লাটুর মনে সন্দেহ রইল না যে সে যেভাবে উড়ছে, তাতে এখনই তাদের ধরে ফেলবে।