কার্বাইডে ফল পাকে কেন?

ফল স্বাভাবিকভাবে পাকে একটি হরমোনের জন্য, নাম হলো ইথিলিন। যদি কাঁচা ফল গাছ থেকে তুলে নিয়ে ইথিলিনের সংস্পর্শে রেখে দেওয়া হয় তাহলে দেখা যাবে ফলে পাক ধরবে। আর কার্বাইড ও বাতাসের জলীয় বাষ্পে অ্যাসিটিলিন নামে একটা গ্যাস তৈরি হয়, যা অনেকটা ইথিলিনের মতো গুণসম্পন্ন। যার জন্য ফল পেকে যায়। তবে পাকার রংটি ধরে না। তাই আজকের দিনে কার্বাইডের পরিবর্তে ২-ক্লোরোইথাইল ফসফোরিক অ্যাসিডও ব্যবহার করা হয়। এতে করে ফলে পাক তো ধরেই, সাথে সাথে পাকা রং ও স্বাদটিও নিয়ে আসে।

কার্বাইডে ফল পাকে কেন

কার্বাইড দিয়ে ফল পাকানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

কার্বাইড দিয়ে ফল পাকালে ফলে বিষাক্ত কেমিক্যাল জমা হয়। কার্বাইড একটি বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ। লাভের আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ফলের মধ্যে কার্বাইড ব্যবহার করে ফল পাকায়। সাধারণত আম, কলা, কাঁঠাল, আনার ও অন্যান্য আকর্ষণীয় ফল কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়।

এই সব ফল দীর্ঘদিন ধরে খাওয়ার ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে তার মধ্যে আছে বদহজম, পেটেরপীড়া, পাতলা পায়খানা, জন্ডিস, গ্যাস্ট্রিক, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট, ক্যান্সার ইত্যাদি জটিল রোগের সৃষ্টি হয়।

কার্বাইডে পাকানো ফলের স্বাদ

সাধারণত পরিপক্ক ফল সহজেই পাকে যেখানে কার্বাইডের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু যে ফলগুলে পরিপক্ক হয় নি অথবা পরিপক্ক হওয়ার আগেই গাছ থেকে তুলে নেয়া হয় সেই ফলগুলোতে কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয়। ক্যামিক্যাল দিয়ে পাকানোর কারণে ফল একদিকে বিষাক্ত হয়ে পড়ে অন্য দিকে ফলের স্বাভাবিক স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। ফল খেতে পানসা, শক্ত ও বিস্বাদ লাগে। যদিও দেখতে রং সুন্দর ও টক টকে হয়ে থাকে।

কার্বাইডে পাকানো ফল চেনার উপায়

আম, টমেটোর পাতলা চামড়া সুষম ভাবে রঙীন হওয়ার কারণে সহজে চেনা যায় না। কিন্তু কলার ক্ষেত্রে সহজে চেনা যায়, কলার চামড়া হলুদ রং ধারণ করলেও কলার বোঁটা সবুজ রং থেকে যায়।

Leave a Comment