কার্বন দূষণ হল বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন। এই গ্যাসগুলি সূর্য থেকে আসা তাপকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আটকে রাখে, যার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়।
কার্বন দূষণের প্রধান উৎস হল জীবাশ্ম জ্বালানির দহন, যেমন কয়লা, তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস। এই জ্বালানিগুলি পুড়লে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। অন্যান্য উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে বন উজাড়, কৃষি এবং শিল্প।
কার্বন দূষণের অনেক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- বৈশ্বিক উষ্ণতা
- সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি
- জলবায়ু পরিবর্তন
- তীব্র আবহাওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি
- বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদের বিলুপ্তি
কার্বন দূষণ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো
- নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের উন্নয়ন
- শক্তি দক্ষতা বৃদ্ধি
- বনায়ন
বাংলাদেশ কার্বন দূষণ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের ব্যবহার বৃদ্ধি
- শক্তি দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ
- বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ
বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ২১.৮৫ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।