কারবারি বাট্টা কাকে বলে? নগদ বাট্টা কাকে বলে?

কারবারি বাট্টা(Trade Discount) কাকে বলে?

পণ্য ক্রয় বা বিক্রয়ের সময় যে বাট্টার কথা বলা হয় বা দেয়া থাকে তাকে কারবারি বাট্টা বলে। কারবারি বাট্টা হিসাবভূক্ত হয় না।

পণ্যের তালিকা মূল্য থেকে যে পরিমাণ টাকা ছাড় দিয়ে বিক্রেতা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেন তাকে কারবারি বাট্টা বলে। কারবারি বাট্টার জন্য কোন প্রকার জাবেদা দাখিলা দেওয়া হয় না। কাজেই কারবারি বাট্টা হিসাব-নিকাশে কোন প্রভাব ফেলে না। ব্যবসায়ী বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য এই প্রকার বাট্টা প্রদান করে থাকেন। একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার করা যাক। বাজারে বিক্রিত পণ্যের কভারে খুচরা মূল্য লেখা থাকে। ধরা যাক আপনি হিসাববিজ্ঞান প্রথম পত্র বই কিনবেন। বইটির মূল্য তালিকা লেখা আছে ৩০০ টাকা। আপনি বইটি ক্রয় করতে গেলে ২০% ছাড় পাবেন। অর্থাৎ (৩০০×২০%) = ৬০ টাকা কমে ২৪০ টাকায় বইটি কিনতে পারবেন। এখানে ৬০ টাকা হবে কারবারি বা ব্যবসায়িক বাট্টা।

নগদ বাট্টা (Cash Discount) কাকে বলে?

বাকীতে পণ্য দ্রব্য বিক্রয়ের ফলে বিবিধ দেনাদার বা প্রাপ্য হিসাবে উদ্ভব হয়। দীর্ঘদিন বাকী টাকা আদায় না হলে ব্যবসায়ের ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়। কাজেই দেনাদারদের নিকট হতে দ্রুত টাকা আদায়ের জন্য কিছু টাকা ছাড় দেওয়া হয়। একেই নগদ বাট্টা বলে। নগদ বাট্টা হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধ হয়।

প্রাপ্ত বাট্টা (Discount Received) কাকে বলে?

ধারে মাল ক্রয় করলে পাওনাদার বা প্রদেয় হিসাবের উদ্ভব হয়। পাওনাদারের টাকা নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে পরিশোধ করলে বাট্টা পাওয়া যায় তাকে প্রাপ্ত বাট্টা বলে।

প্রদত্ত বাট্টা (Discount Allowed) কাকে বলে?

ধারে মাল বিক্রয় করলে দেনাদারের উদ্ভব হয়। পাওনা টাকা দ্রুত আদায়ের জন্য যে বাট্টা ছাড় দেওয়া হয় তাকে প্রদত্ত বাট্টা বলে।

পরিমাণ বাট্টা (Quantity Discount) কাকে বলে?

বিক্রেতা ক্রেতাকে অধিক পণ্য ক্রয়ের জন্য এই প্রকার বাট্টা প্রদান করেন। যেমন: এক প্যাকেট (১ কেজি) গুড়ো সাবান কিনলে ১ টা মগ ফ্রি। এই ১ টা মগ হচ্ছে পরিমাণ বাট্টা। পরিমাণ বাট্টাকে কারবারি বাট্টা বলা হয়।