এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম কাকে বলে?

কোষের সাইটোপ্লাজমে বিস্তৃত ও একক ঝিল্লিবেষ্টিত জালিকাকার অঙ্গাণু যা একাধারে প্লাজমা মেমব্রেন ও নিউক্লিয়ার মেমব্রেনের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করে এবং সাইটোপ্লাজমকে অনিয়ত প্রকোষ্ঠে বিভক্ত করে অবস্থান করে, তাকে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম বলে।

অ্যালবার্ট ক্লড এবং কেইথ পোর্টার ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে মুরগীর ভ্রূণীয় কোষের সাইটোপ্লাজম থেকে এটি আবিষ্কার করেন।

এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম এর আবরণীর গায়ে প্রায়ই রাইবোজোম লেগে থাকে, তাই স্বাভাবিকভাবেই এই সব স্থানে প্রোটিন সংশ্লেষণের ঘটনা ঘটে। কোষে উৎপাদিত পদার্থগুলো প্রবাহ পথ হিসেবে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ব্যবহৃত হয়। এগুলো কখনো কখনো প্লাজমা মেমব্রেনের সাথে যুক্ত থাকে, তাই ধারণা করা হয় যে এক কোষ থেকে অন্য কোষে উৎসেচক ও কোষে উৎপাদিত অন্যান্য দ্রবাদি এর মাধ্যমে চলাচল করে। মাইটোকন্ড্রিয়া, কোষগহ্বর এগুলো সৃষ্টিতে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। উদ্ভিদ এবং প্রাণী উভয় কোষেই এরা উপস্থিত থাকে।

এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম এর প্রকারভেদ

রাইবোজোমের উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম দু’রকম। 

যথাঃ অমসৃণ ও মসৃণ।

এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের গায়ে অতিক্ষুদ্র কণার আকার রাইবোজোম বিন্যস্ত থাকলে তাকে অমসৃণ এবং রাইবোজোমবিহীন জালিকাকে মসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম বলে।

গঠনশৈলীর ভিত্তিতে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

ক) সিস্টারনি

খ) ভেসিকুলার

গ) টিউবিউলার।