একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তোমার যা করণীয় আছে তার একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি কর।

একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন একজন সুনাগরিক। কেউ সুনাগরিক হয়ে
জন্মগ্রহণ করে না। সুনাগরিকতা অর্জন করতে হয়। সুনাগরিকের কতগুলো গুণ বা বৈশিষ্ট্য
রয়েছে। এগুলো অর্জনের মাধ্যমে সুনাগরিকতা অর্জন করা যায়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে সুনাগরিক হতে হলে একজন নাগরিককে ৩ টি মৌলিক গুণের অধিকারী হতে হবে। যথা

  • বুদ্ধি
  • আত্মসংযম
  • বিবেক বিচার

একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলার ক্ষেত্রে যা করণীয় তা হলো:

বুদ্ধিঃ বুদ্ধিমান নাগরিক যেকোনো
রাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। বুদ্ধিমত্তা অর্জনের সবচেয়ে বড় উপায় হলো শিক্ষা
লাভ করে জ্ঞান অর্জন করা। অতএব, নাগরিককে যথার্থ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। কারণ
বুদ্ধিমান নাগরিক উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন, দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা,
রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সফলতাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য আমাদের
উচিত যথার্থ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একজন সৎ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠা।

আত্মসংযমঃ আত্মসংযম নাগরিককে অসৎ কাজ (যেমন: দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বার্থপরতা,
পক্ষপাতিত্ব ইত্যাদি) থেকে বিরত রাখে। দেশ ও সমাজের স্বার্থে কাজ করতে ও
নিয়ম-কানুন মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করে। তাই আত্মসংযম ছাড়া নাগরিক হওয়া যায় না।
তাই আমরাও আত্মসংযমী হবো।

বিবেক বিচারঃ বিবেক বিচার বলতে
বুঝায়, ভালো মন্দের জ্ঞান, দায়িত্ব কর্তব্যের জ্ঞান। একজন নাগরিক শুধু বুদ্ধিমান
এবং আত্মসংযমী হলে হবে না। যেকোনো কাজ সম্পন্ন করতে হলে তাকে ভাবতে হবে ভালো
না মন্দ। মন্দ কাজটি পরিহার করে ভালো কাজটি করতে হবে। সুনাগরিককে দেশের শাসন
ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে হবে। সুনাগরিক হতে হলে বিবেকবান হতে হবে। কারণ বিবেক
বিচার সুনাগরিকের জন্য খুবই প্রয়োজন। 

আমরা যদি বুদ্ধি, আত্মসংযম ও বিবেক বিচার এ তিনটি গুণ অর্জন করতে পারি। তবেই
আমরা সুনাগরিক হতে পারবো।