উদ্দীপক কাকে বলে? What is Stimulus?

যা দেহে উদ্দীপনা ঘটাতে সমর্থ তাকেই উদ্দীপক বলে। উদ্দীপক সংবেদনের মূল কারণ। বহির্জগতের কোন বস্তু উদ্দীপক হতে পারে বা দেহের অভ্যন্তরস্থ কোন পরিবর্তনও উদ্দীপকের কাজ করতে পারে। বহির্জগতের কোন বস্তু ইন্দ্রিয়ের ওপর ক্রিয়া করে ইন্দ্রিয়কে উদ্দীপিত করলে এবং সেই উদ্দীপনা অন্তর্মুখী স্নায়ুর মাধ্যমে মস্তিষ্কে বাহিত হলে সংবেদন সৃষ্ট হয়। যেমন – বায়ু তরঙ্গ কর্ণকে উদ্দীপিত করে শব্দ সংবেদন উৎপন্ন করে। ক্ষুধা, তৃষ্ণা প্রভৃতি দৈহিক সংবেদনের ক্ষেত্রে উদ্দীপক থাকে দেহের ভেতরে। দেহগত পরিবর্তনের ফলেই এই জাতীয় সংবেদন উৎপন্ন হয়।

এই উদ্দীপক দু’প্রকার হতে পারে। যথাঃ

১) পর্যাপ্ত উদ্দীপক এবং 
২) অপর্যাপ্ত উদ্দীপক। 

১) পর্যাপ্ত উদ্দীপকঃ যে উদ্দীপক স্বাভাবিকভাবেই কোন ইন্দ্রিয়কে উদ্দীপিত করে একটি বিশেষ সংবেদন উৎপন্ন করার পক্ষে যথেষ্ট তাকে ঐ ইন্দ্রিয়ের এবং সংবেদনের পর্যাপ্ত উদ্দীপক বলে। যেমন, আলোকরশ্মি চক্ষুকে উদ্দীপিত করে দৃষ্টিগত সংবেদন, তরল পদার্থ জিভের ওপর ক্রিয়া করে স্বাদগত সংবেদন, গ্যাসীয় পদার্থ ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের ওপর ক্রিয়া করে ঘ্রাণ সংবেদন উৎপন্ন করার পক্ষে পর্যাপ্ত উদ্দীপক। 

২) অপর্যাপ্ত উদ্দীপকঃ যে উদ্দীপক স্বাভাবিকভাবে কোন উদ্দীপনা উৎপন্ন করার পক্ষে যথেষ্ট নয়, অথচ তা উৎপন্ন করে সেই উদ্দীপক ঐ সংবেদনের অপর্যাপ্ত উদ্দীপক। যেমন, দেহের অভ্যন্তরস্থ কোন পরিবর্তন, গা বমি বমি করা – এই দৈহিক সংবেদন উৎপন্ন করে। কিন্তু অনেক সময় কোন পচা বা দুর্গন্ধ বস্তু দেখা মাত্রই গা বমি বমি করে। এক্ষেত্রে পচা বা দুর্গন্ধযুক্ত বস্তু গা বমি বমি করা এই দৈহিক সংবেদনের উদ্দীপক।

Leave a Comment