ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য

ইসলামের মৌলিক নিয়ম-কানুনের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা অর্থব্যবস্থাকে ইসলামী অর্থব্যবস্থা বলা হয়।

ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য

ইসলামী অর্থব্যবস্থায় পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ মানব জাতির কল্যাণে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এ ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:

১। মানবজীবনের সামগ্রিক দিকের সাথে সম্পৃক্ত : ইসলামী অর্থব্যবস্থা মানবজীবনের কোনো বিচ্ছিন্ন বা আংশিক ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা না করে মানবজীবনের সমগ্র ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করে।

২। মানুষের অধিকার ও দায়িত্বে কোনো বৈষম্য নেই : ইসলামী অর্থব্যবস্থায় সমাজের ব্যক্তি ও সমষ্টির অধিকার, কর্তব্য ও দায়িত্বে কোনোরূপ বৈষম্য নেই। কারণ এ ব্যবস্থায় প্রত্যেক ব্যক্তিকে মর্যাদা এবং জীবন ধারণের পূর্ণাঙ্গ অধিকার দেওয়া হয়।

৩। ইসলামী শরিয়তের ভিত্তিতে পরিচালনা : ইসলামী অর্থনীতির মূল নীতিমালা ইসলামী শরিয়তের উপর নির্ভর করে। ইসলাম ধর্মের মূল দর্শন, পবিত্র কুরআনের নির্দেশ ও রাসুল (স.) এর হাদিসের বিধান মোতাবেক অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধানের কথা বলা হয়েছে।

৪। মানবকল্যাণে সব সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার : ইসলামী অর্থব্যবস্থায় দেশের সমগ্র প্রাকৃতিক ও মানবীয় সম্পদকে মানুষের আয়ত্তাধীন এবং তার কল্যাণে ব্যবহারের কথা বলা হয়।

৫। সম্পদের আমানতদারি মালিকানা : সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানুষ নিজেকে কেবল স্রষ্টার আমানতদার হিসেবে গণ্য করে। এজন্যই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাফল্য মানুষের চরিত্রে দুর্নীতি ও লোভ সৃষ্টি করতে পারে না।

৬। সুদমুক্ত আমানত : ইসলামী অর্থনীতিতে সুদ গ্রহণের স্বীকৃতি নেই। এখানে ব্যাংক ব্যবস্থায় সুদমুক্ত আমানতের ব্যবস্থা করা হয়।

৭। যাকাত ও ফিতরা : এ ব্যবস্থায় ন্যায়বিচারভিত্তিক বণ্টন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে যাকাত ও ফিতরার মাধ্যমে ধনীদের নিকট থেকে অর্থ গ্রহণ করে তা দরিদ্রদের মধ্যে বণ্টন করা হয়।