আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?

আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?

আলোক রশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তীর্যকভাবে প্রবেশ করলে
দুই মাধ্যমের বিভদতলে
এর দিক পরিবর্তন হয়। আলোকরশ্মির এই দিক পরিবর্তনের ঘটনাকে
আলোর প্রতিসরণ বলে।

আলোকরশ্মি বিভেদ
তলে
যে বিন্দুতে আপতিত হয়ে দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশ করে সে বিন্দুকে
আপতন বিন্দু বলে। আপতন বিন্দুতে বিভেদ
তলে
উপর অঙ্কিত লম্বকে অভিলম্ব বলে।

আলোকরশ্মি আলোর সাপেক্ষে হালকা মাধ্যম (বায়ু) থেকে আলোর সাপেক্ষে ঘন মাধ্যম
(পানি) এ প্রবেশ করলে অভিলম্বের দিকে সরে যায়, আবার ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে
প্রবেশ করলে অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়।

আলোর প্রতিসরণের সূত্র কে আবিষ্কার করেন?

১৬২০ সালে হল্যান্ডের বিজ্ঞানী স্নেল (Willebrord Snellius) সর্বপ্রথম আলোর প্রতিসরণের সূত্র আবিষ্কার করেন।

আলোর প্রতিসরণের সূত্র (Laws of refraction) দুটি লিখ।

আলোর প্রতিসরণ দুটি সূত্র মেনে চলে। যথাঃ

প্রথম সূত্রঃ আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে বিভেদতলের
উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে।

দ্বিতীয় সূত্রঃ আলো যখন এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে
তীর্যকভাবে প্রবেশ করে তখন একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম ও নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর জন্য
আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা ধ্রুব থাকে। এই ধ্রুব
সংখ্যাকে μ দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

আরো পড়ুনঃ Cv অপেক্ষা Cp বড় কেন?