অ্যামিটার কাকে বলে? আবিষ্কারক, বর্তনীতে সংযোগের নিয়ম, কাজ

অ্যামিটার কাকে বলে?

যে যন্ত্রের সাহায্যে কোনো বৈদ্যুতিক বর্তনীর বিদ্যুৎ প্রবাহমাত্রা সরাসরি অ্যাম্পিয়ার এককে পরিমাপ করা যায় তাকে অ্যামিটার বলে।

অ্যামিটার কে আবিষ্কার করেন?

অ্যামিটারের আবিষ্কারক হিসেবে তিনজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়:

  • আলেসান্দ্রো ভোল্টা: ১৮০০ সালে, ভোল্টা প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হন। তিনি তার আবিষ্কারের উপর ভিত্তি করে একটি সরল গ্যালভানোমিটার তৈরি করেন যা বর্তনীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বিদ্যুৎ প্রবাহ পরিমাপ করতে পারে।
  • জোসেফ হেনরি: ১৮২২ সালে, হেনরি একটি উন্নত গ্যালভানোমিটার তৈরি করেন যা আরও নির্ভুলভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহ পরিমাপ করতে পারে।
  • ইয়োহান গ্যোটলিব গ্যালে: ১৮২৭ সালে, গ্যালে একটি চলমান কয়েল অ্যামিটার তৈরি করেন যা আরও বেশি পরিসর এবং নির্ভুলতা সহ বিদ্যুৎ প্রবাহ পরিমাপ করতে পারে।

এই তিনজন ব্যক্তির আবিষ্কারগুলি অ্যামিটারের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

আধুনিক অ্যামিটারের আবির্ভাব হয় ১৮৯০-এর দশকে। এই সময়ে, এডওয়ার্ড ওয়েস্টন এবং অন্যান্য প্রকৌশলীরা অ্যামিটারের বিভিন্ন ধরন তৈরি করেন যা আরও নির্ভুল, নির্ভরযোগ্য এবং ব্যবহার করা সহজ।

বর্তনীতে অ্যামিটার কিভাবে সংযোগ দেয়া হয়?

অ্যামিটারকে বর্তনীতে শ্রেণী সংযোগে সংযুক্ত করা হয়। এর মানে হল যে অ্যামিটার বর্তনীর মধ্যে প্রবাহিত সম্পূর্ণ তড়িৎ প্রবাহের পথের মধ্যে অবস্থিত। এটি করার জন্য, অ্যামিটারের দুইটি টার্মিনাল বর্তনীর দুটি বিন্দুর সাথে সংযুক্ত করা হয়। এই বিন্দুগুলি সাধারণত বর্তনীর উৎস এবং লোডের মধ্যে অবস্থিত।

অ্যামিটার এর কাজ কি?

অ্যামিটার বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়, যেমন:

  • বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহের পরিমাণ নির্ণয় করা
  • বর্তনীর কোন অংশে তড়িৎ প্রবাহ বেশি প্রবাহিত হচ্ছে তা নির্ণয় করা
  • বর্তনীর কোন অংশে তড়িৎ প্রবাহ অস্বাভাবিকভাবে বেশি বা কম হচ্ছে তা নির্ণয় করা
  • বর্তনীর কোন অংশে তড়িৎ প্রবাহের কোন সমস্যা আছে কিনা তা নির্ণয় করা