অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য কাকে বলে? অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের সুবিধা

অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য হল একই দেশের ভিতরে পণ্য ও পরিষেবার ক্রয়বিক্রয়। এটি একটি দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের মাধ্যমে, পণ্য ও পরিষেবাগুলি একটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এটি ভোক্তার চাহিদা পূরণ করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তা করে।

অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যকে দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:

  • পাইকারি বাণিজ্য: পুনঃবিক্রয় বা মধ্যবর্তী ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রচুর পরিমাণে পণ্য ও পরিষেবার ক্রয় এবং বিক্রয়কে পাইকারি বাণিজ্য হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
  • খুচরা বাণিজ্য: ভোক্তাদের কাছে পণ্য ও পরিষেবা বিক্রি করাকে খুচরা বাণিজ্য হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের সুবিধা

অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের সুবিধাগুলি হল:

  • পণ্য ও পরিষেবার বিতরণ বৃদ্ধি: অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের মাধ্যমে, পণ্য ও পরিষেবাগুলি একটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এটি ভোক্তার চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করে।
  • মূল্যের ন্যায্যতা: অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের মাধ্যমে, পণ্য ও পরিষেবাগুলি বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া যায়। এটি মূল্যের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
  • কর্মসংস্থান বৃদ্ধি: অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে। এটি বেকারত্বের হার কমাতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তা করে।
  • অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন: অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তা করে। এটি একটি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।

বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ। বাংলাদেশের মোট জিডিপির প্রায় 60% অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য থেকে আসে। বাংলাদেশের প্রধান অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে কৃষি পণ্য, শিল্প পণ্য, এবং পরিষেবা।