অভাব কাকে বলে?

মূলত মানুষের প্রয়োজন থেকেই অভাব বোধের সৃষ্টি। স্বাভাবিক জীবনযাপনে মানুষ যেসব দ্রব্য পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে তাকে অভাব বলে। বিশেষভাবে সন্তুষ্টি প্রদানে সক্ষম এমন সব তীব্র বা গভীরতম আকাঙ্খাকে অভাব বলে। যেমন – অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদির অভাব। তাই মানুষের অভাববোধ জেনে নিয়ে বাজারজাতকারীকে তদনুযায়ী পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ করা উচিত। 

অভাব প্রসঙ্গে Philip Kotler and Gray Armstrong বলেন, “Wants are the form taken by a human need as shaped by culture and individual personality”.

অর্থাৎ মানুষের প্রয়োজন সংস্কৃতি ও ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব দ্বারা যে আকৃতি গ্রহণ করে তাই অভাব।

অন্যভাবে,

সাধারণ অর্থে অভাব বলতে আর্থিক অনটনকে বোঝায়। কিন্তু অর্থনীতিতে অভাব শব্দটি বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়। অর্থনীতিতে কোনো কিছু পাওয়া বা কোনো দ্রব্য বা সেবা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে অভাব বলে। প্রতিনিয়তই মানুষ নানা অভাবের সম্মুখীন হচ্ছে। বস্তুতপক্ষে, মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই অভাবের উদ্ভব। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, পরিবার প্রতিপালন, শিক্ষা প্রভৃতি অভাবের সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ। আর অভাব পূরণের জন্য নানাবিধ কর্মপর্যায় গৃহীত হচ্ছে। এর ফলে সভ্যতারও অগ্রগতি হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে মানুষের সর্বপ্রকার অর্থনৈতিক কার্যাবলির মূলে রয়েছে অভাববোধ।