অনাদায়ী পাওনা কাকে বলে?
যে পাওনা নির্দিষ্ট তারিখে পরিশোধ করা উচিত ছিল কিন্তু তা পরিশোধ করা হয়নি তাকে অনাদায়ী পাওনা বলে। অনাদায়ী পাওনার অর্থ হল একজন ব্যক্তি বা সংস্থা অন্য একজন ব্যক্তি বা সংস্থাকে যে পরিমাণ অর্থ দেওয়ার কথা ছিল তা পরিশোধ করেনি।
কি কি কারণে কোনো পাওনা অনাদায়ী হতে পারে?
কোনো পাওনা অনাদায়ী হওয়ার পেছনে অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে। সাধারণত, পাওনা অনাদায়ী হওয়ার কারণগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:
ঋণগ্রহীতার পক্ষ থেকে কারণ:
- ঋণগ্রহীতা দেনা পরিশোধ করতে অস্বীকার করে।
- ঋণগ্রহীতার কাছে দেনা পরিশোধের জন্য যথেষ্ট অর্থ নেই।
- ঋণগ্রহীতা ব্যবসা বন্ধ করে দেয় বা দেউলিয়া হয়ে যায়।
- ঋণগ্রহীতা মারা যায়।
ঋণদাতার পক্ষ থেকে কারণ:
- ঋণদাতা দেনা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।
- ঋণদাতা ঋণগ্রহীতার সাথে একটি শক্তিশালী চুক্তি করে না।
- ঋণদাতা ঋণগ্রহীতার ক্রেডিট স্কোর পরীক্ষা করে না।
অনাদায়ী পাওনার কিছু নির্দিষ্ট কারণ নিম্নরূপ:
- অর্থনৈতিক মন্দা: অর্থনৈতিক মন্দার সময় অনেক ব্যবসায় ক্ষতি হয় এবং তাদের দেনা পরিশোধে সমস্যা হয়।
- ব্যবসা সংকট: ব্যবসায়িক সংকটের কারণে অনেক ব্যবসা দেউলিয়া হয়ে যায় এবং তাদের দেনা পরিশোধ করতে পারে না।
- প্রতারণা: কিছু ক্ষেত্রে, ঋণগ্রহীতা ইচ্ছাকৃতভাবে দেনা পরিশোধ না করার জন্য প্রতারণা করে।
- অনিচ্ছাকৃত ভুল: কিছু ক্ষেত্রে, ঋণগ্রহীতা ভুলক্রমে দেনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়।
অনাদায়ী পাওনা একটি ব্যবসার জন্য একটি বড় সমস্যা হতে পারে। অনাদায়ী পাওনার কারণে একটি ব্যবসার আয় হ্রাস পেতে পারে এবং লাভ কমে যেতে পারে। এছাড়াও, অনাদায়ী পাওনার কারণে একটি ব্যবসার আর্থিক অবস্থা খারাপ হতে পারে এবং দেউলিয়া হতে পারে।
অনাদায়ী পাওনা থেকে রক্ষা পেতে করণীয়
অনাদায়ী পাওনা থেকে রক্ষা পেতে ব্যবসাগুলি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে পারে:
- ক্রেতা বা গ্রাহকের সাথে একটি শক্তিশালী চুক্তি করুন যা দেনা পরিশোধের শর্তাবলী নির্ধারণ করে।
- ক্রেতা বা গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর পরীক্ষা করুন।
- দেনা পরিশোধের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা তথ্য ক্রেতা বা গ্রাহকের কাছ থেকে প্রাপ্ত করুন।
- দেনা পরিশোধের জন্য একটি নিয়মিত নোটিস প্রদান করুন।
- দেনা পরিশোধের জন্য আইনি পদক্ষেপ নিন।
বাংলাদেশে অনাদায়ী পাওনা থেকে রক্ষা পেতে ব্যবসাগুলি নিম্নলিখিত আইনগুলির অধীনে ব্যবস্থা নিতে পারে:
- দায়ী ব্যক্তির সম্পত্তি বা অর্থের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
- দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করা।
- দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা।