একটি গড়ানো মার্বেলকে গড়ানোর গতির দিকে বল প্রয়োগ করলে কী ঘটবে?

বল প্রয়োগ করে কোনো স্থিতিশীল বস্তুকে গতিশীল করা যায় বা গতিশীল কোনো বস্তুর গতির পরিবর্তন করা যায়। একটি গড়ানো মার্বেলকে গড়ানোর গতির দিকে বল প্রয়োগ করলে মার্বেলের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে।

হাঁটার সময় আমরা মাটির ভিতর ঢুকে যাই না কেন?

মাটির প্রতিক্রিয়া বলের কারণে আমরা হাঁটার সময় মাটির ভিতর ঢুকে যাই না। আমরা যখন মাটির উপর দিয়ে হাঁটি তখন পেছনের পা দ্বারা মাটির উপর পেছনের দিকে তির্যকভাবে একটা বল প্রয়োগ করি। এ বল হলো ক্রিয়া বল। নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী এই বলের বিপরীতে একটি প্রতিক্রিয়া বল সৃষ্টি হয়। এই প্রতিক্রিয়া বলের কারণেই হাঁটার সময় আমরা … Read more

বায়ু ভর্তি একটি বেলুন ফুটা করে ছেড়ে দিলে তা সামনের দিকে উড়ে চলে না কেন?

বায়ু ভর্তি একটি বেলুন ফুটা করে ছেড়ে দিলে তা ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্র মেনে চলে সামনের দিকে এগিয়ে চলে। যখন বেলুন ফুটা করে দেয়া হয় তা থেকে যে বায়ু নির্গত হয় তার একটি ভরবেগ থাকে। তখন ভরবেগ সংরক্ষিত থাকার জন্য বেলুন বিপরীত দিকে গতিপ্রাপ্ত হয়। এ কারণে বেলুন ফুটা করে দিলে তা সামনের দিকে উড়ে চলে।

প্রতিক্রিয়া বল কখন শূন্য হয়?

নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রানুসারে, প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বল সবসময়ই দুইটি ভিন্ন বস্তুর উপর ক্রিয়া করে; কখনো একই বস্তুর উপর ক্রিয়া করে না। প্রতিক্রিয়া বলটি ততক্ষণই থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত ক্রিয়া বলটি থাকবে।অর্থাৎ ক্রিয়া বল থামার সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া বল শূন্য হবে।

কাদাযুক্ত রাস্তায় আমরা পিছলে যাই কেন?

রাস্তায় হাঁটার সময় রাস্তা ও পায়ের তলার মধ্যে যে ঘর্ষণ বল তৈরি হয় তার জন্য আমরা চলতে পারি। কিন্তু রাস্তা কাদাযুক্ত হলে রাস্তা ও পায়ের তলার মধ্যকার ঘর্ষণ বল হ্রাস পায়। এর ফলে কাদাযুক্ত রাস্তায় আমরা পিছলে যাই।

ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া সমান হওয়া সত্ত্বেও স্থির বস্তুতে কেন গতির সৃষ্টি হয়?

নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুসারে ক্রিয়া এবং প্রতিক্রিয়া বল সমান ও বিপরীতমুখী। এদের লব্ধি শূন্য হতো যদি এরা একই বস্তুর উপর ক্রিয়া করতো। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বল দুটি ভিন্ন বস্তুর উপর ক্রিয়া করে, অর্থাৎ একটি বস্তুর উপর একটিমাত্র বল ক্রিয়া করে। এক্ষেত্রে ঐ বস্তুতে তৃতীয় কোনো বল প্রযুক্ত না হলে তাতে গতির পরিবর্তন তথা ত্বরণ … Read more

পিচ্ছিলকারী পদার্থের ব্যবহার ব্যাখ্যা কর।

তেল, মবিল এবং গ্রীজ জাতীয় পদার্থকে সংক্ষেপে লুব্রিকেন্ট বা পিচ্ছিলকারী পদার্থ বলে। দুটি তলের মধ্যবতী স্থানে যখন এ ধরনের লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা হয় তখন ঘর্ষণের পরিমাণ অনেকাংশে কমে যায়। কোনো ইঞ্জিনের গতিশীল যন্ত্রাংশের মধ্যবর্তী স্থানে তাই লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বাড়িতে সেলাই মেশিনে, তলায় বা কব্জাতে আমরা তেল ব্যবহার করি।